সম্প্রতি সফর করা চীনা মেডিক্যাল দল বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান, দায়িত্বপ্রাপ্ত হাসপাতাল ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট একাধিক সংস্থার সঙ্গে ১২টি ভিডিও কনফারেন্স করেছে।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের টেলিপ্রেজেন্স মিটিং রুম ব্যবহার করে ১১ দিনে এসব ভিডিও কনফারেন্স সম্পন্ন হয়েছে। উইলিংক ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী সব পক্ষের মধ্যে নিখুঁতভাবে সংযোগ স্থাপনের এ কাজটি করেছে হুয়াওয়ে।
আর এজন্য চীনা মেডিক্যাল দলের প্রধান লি ওয়েনশিউ দলের পক্ষ থেকে হুয়াওয়ের বিশেষ প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আসার আগে হুয়াওয়ে তাদের টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত কারিগরি সেবা আমাদের ব্যাখ্যা করেছে ও বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর প্রফেশনাল ভিডিও কনফারেন্স ভেন্যু এবং অনলাইন মিটিংয়ের জন্য মানসম্পন্ন কারিগরি সেবা দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের কাজ অনেক সহজ হয়েছে। এজন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঢাকায় চীন দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর এবং ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান বলেন, বাংলাদেশে এ মেডিক্যাল দলের অবস্থানকালে হুয়াওয়ের দায়িত্বশীলতা ও কাজ করার ইতিবাচক মনোভাব আমাদের ওপর বেশ প্রভাব ফেলেছে। দূতাবাসের পক্ষ হতে আমরা এজন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারাবিশ্বেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাংলাদেশের অবস্থাও প্রতিদিনই পরিবর্তিত হচ্ছে। নির্মমভাবে মহামারি ছড়িয়ে পড়ছে, তবে মানবিক উষ্ণতার ছোঁয়াও বিরাজ করছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করছে চীনা মেডিক্যাল দল। আর এ উদ্যোগে সহায়তার অংশ হিসেবে দলটিকে যোগাযোগ প্রযুক্তিসেবা দিতে পেরে আমরা বেশ আনন্দিত। একই সঙ্গে আমরা দেখেছি বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু রাখতে ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সর্বশক্তি দিয়ে লড়ছে। প্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এ লড়াইয়ে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে চাই।
হুয়াওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সংকট কাটিয়ে উঠার পাশাপাশি এ মহামারি দূর করার ক্ষেত্রে সরকার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সব স্তরের মানুষকে সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত। এ খাতের অংশ হতে পেরে এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধান উদ্যোগগুলোর অংশ হতে পেরে হুয়াওয়ে গর্বিত।
‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুতই কঠিন সময় পার করা সম্ভব হবে বলেও বিশ্বাস করে হুয়াওয়ে।’