প্রযুক্তির অগ্রতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব, সেই সঙ্গে সমানতালে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। সর্বক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের ব্যবহার সহজ করে তুলছে মানুষের জীবনযাত্রার মান। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্রডব্যান্ড সেবার মানও। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট স্পিডে চীনের চেয়ে এগিয়ে আছে।
সম্প্রতি গুগল ও বেশ কয়েকটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এম ল্যাবের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত এম ল্যাব ২২১টি দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির উপর এক সমীক্ষা পরিচালনা করে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪তম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রডব্যান্ডে বাংলাদেশের ইন্টারনেটের গতি গড়ে প্রতি সেকেন্ডে তিন দশমিক দুই মেগাবাইট বা ৩ দশমিক ২ এমবিপিএস।
এই তালিকায় চীনের অবস্থান ২০০তম। টেক জায়ান্ট এ দেশটির ব্রডব্যান্ডের গতিবেগ ২ দশমিক ১ এমবিপিএস। তবে দক্ষিণ এশিয়াতে নেপাল (১৫০), ভুটান (১৫৯), মালদ্বীপ (১৪১), শ্রীলঙ্কা (৭২) এবং ভারতের (১০১) চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
মাত্র ১৬০ বর্গকিলোমিটারের দেশ লিশটেনস্টাইনে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পাওয়া গেছে। ইউরোপের দেশটিতে ইন্টারনেটের গড় গতি ২৩০ এমবিপিএস। এই গতি দিয়ে ৫ গিগাবাইটের একটি ফাইল ডাউনলোড করতে মাত্র ৩ মিনিটেরও কম সময় প্রয়োজন হয়। শীর্ষ পাঁচ দেশের বাকি দেশগুলো যথাক্রমে হলো- জার্সি, অ্যান্ডোরা, জিব্রাল্টার এবং লুক্সেমবার্গ।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশনের মার্চ ২০২০ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আইএসপি ও পিএসটিএন ভিত্তিক গ্রাহক রয়েছে ৮০ লাখের কিছু বেশি। এর বাইরে ওয়াইম্যাক্স ব্যবহার করেন খুব অল্প কিছু গ্রাহক। তবে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন সাড়ে নয় কোটির বেশি মানুষ।