সম্প্রতি লঞ্চ করা হয়েছে শাওমি মি ১০টি প্রো (ফাইভ জি)৷ এটি মূলত একটি ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস এবং এটি মূলত একটি ক্যামেরা সেন্ট্রিক ফ্লাগশিপ ফোন । এতে রাখা হয়েছে একটি বড় আকারের ক্যামেরা সেটআপ । যার কারণে দেখে বোঝা যাবে এটি একটি ক্যামেরা সেন্ট্রিক ফোন৷
শুরুতেই জানিয়ে রাখি বাংলাদেশে এই ফোনটি এখনো অফিশিয়ালি পাওয়া যাচ্ছে না৷ কবে আসবে সেই সম্পর্কে এখনো কিছু বলা হয়নি।
আশা করি অতি দ্রুত এটি বাংলাদেশের লঞ্চ করা হবে।
তাহলে চলুন এই আর্টিকেলে জেনে নেওয়া যাক এই ফোনটির ছোট্ট একটি রিভিউ!
তাহলে বিল্ড কোয়ালিটি দিয়ে শুরু করা যাক!
এই ফোনের প্রটেকশন হিসেবে উভয়পাশে থাকছে গরিলা ফাইভ গ্লাস । নিচের দিকে থাকছে একটি সিম স্লট৷ তার সাথে থাকছে একটি type-c সাপোর্টেড পোর্ট । পেছনের দিকে থাকছে একটি বড় ক্যামেরা সেটআপ৷ ফোনের একপাশে থাকছে পাওয়ার বাটন এবং অপর পাশে থাকছে ভলিউম আপ ডাউন বাটন৷ এর ওজন ২১৮ গ্রাম৷ লম্বায় ১৬৫.১ মিলিমিটার । এবং চওড়ায় ৭৬.৪ মিলিমিটার । বুঝতে পারছেন এই ফোনটা যথেষ্ট ভারী।
এই ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি দেখে বোঝা যাবে এটি একদম ফ্লাগশিপ ফোন । তবে যারা হালকা ফোন ব্যবহার করে অভ্যস্ত তারা ব্যাপারটি মাথায় রাখবেন।
তবে এই ফোনটির সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে, এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশিং প্যানেল৷ যে কারণে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটসহ গেমিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপক এক্সপেরিয়েন্স উপলব্ধি করতে পারবেন।
এই ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্নাপড্রাগণ ৮৬৫, সাথে থাকছে ৫জি। র্যাম হিসেবে থাকছে ৮ জিবি র্যাম এবং রম থাকছে ১২৮ জিবি রোম। গেমিং এক্সপেরিয়েন্সের কথা বলতে গেলে এক কথায় অসাধারণ ছিল। পাবজি ফ্রী, ফায়ার এ ধরনের গেম খোলো ডিফল্ট গ্রাফিক্স সেটিংসে খেলা টা খুব স্মুথ।
ব্যাটারি সেকশনে থাকছে ম্যাসিভ ৩০০০ মিলি এম্পিয়ার ব্যাটারী ৷ এবং তার সাথে থাকছে ৩৩ ওয়াট এর ফাস্ট চার্জিং টেকনোলজি সমৃদ্ধ চার্জার । ফোনটি সম্পূর্ণ সার্চ করতে ১ ঘন্টা ১৫ মিনিটের মত সময় লেগেছে৷ এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ আমাকে বিস্মিত করেছে৷ মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করার পরও ফোনটি আমাকে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম হয়েছে ।
এবার কথা বলেছে এই ফোনের ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা নিয়ে। প্রাইমারি ক্যামেরাটি ১০৮ মেগাপিক্সেল৷ এবং তার সাথে থাকছে থার্টিন মেগাপিক্সেলের ও ৫ মেগাপিক্সেলের আরও দুটি ক্যামেরা৷ এবং এর সামনে থাকছে ২০ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা।
অফিশিয়ালি জানানো হয়েছে এবারে শাওমির এই ফোনটি একটি ক্যামেরা সেন্ট্রিক ফোন । সুতরাং এখানে শাওমি অভিযোগ করার মতো কোনো কিছুই রাখেনি৷ ফটোর প্রসেসিং থেকে শুরু করে ফটো কোয়ালিটি সবকিছুই একদম ফার্স্ট ক্লাস।
আলাদাভাবে বলার কিছু নেই । এই ফোনটির যেসকল পূর্বসূরী রয়েছে তাদের তুলনায় যথেষ্ট ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স করছে৷ ফোনটির ক্যামেরা পারফর্মেন্স একদম ডিএসএলআর এর মত৷ যেটা খুবই চমকপ্রদ৷ অধিকাংশ রিভিউতে আমরা বলে থাকি যে, ক্যামেরার মেগাপিক্সেলের বেশী হলেই যে ফটোর কোয়ালিটি ভালো হবে ব্যাপারটা তেমন নয়৷ তবে এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম৷ বরং এখানে যেমন বেশি ক্যামেরার মেগাপিক্সেলের তেমন ভালো ক্যামেরা পারফরম্যান্স৷ মোট মিলিয়ে সবকিছু একদম প্রো লেভেলের৷যদি একটু বেশি ডেলাইটে নাইট মোড ব্যবহার করেন, তাহলে চমকপ্রদ পারফরম্যান্স পাবেন।
এই ফোনটির দাম বাংলাদেশি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ হাজার টাকা।