দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুই সপ্তাহের জন্য রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে মোটরসাইকেলসহ অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালকরা।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। পরে প্রায় হাজার খানেক বাইক নিয়ে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগের দিকে এগিয়ে যায়।
মোটরসাইকেল চালকরা জানান, চাকরি না থাকায় সংসার চালাতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করেন তারা। সরকারের নির্দেশনায় গণপরিবহন চললেও মোটরসাইকেল বন্ধ করে তাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে।
মোটরসাইকেল চালক দ্বীন ইসলাম জানান, রাস্তায় দাঁড়ালেই আমাদের বিনা অপরাধে শুধু শুধু মামলা দেয় পুলিশ। তার ওপর রাইডশেয়ারিং বন্ধের ঘোষণা। আমরা চলবো কীভাবে। চাকরি হারিয়ে আমরা রাইড শেয়ারিংয়ের ওপর নির্ভর করেই পেট চালাই।
অপর এক মোটরসাইকেল চালক জানান, সব যানবাহন চলছে। বিআরটিসির মতো গাড়িতে ডাবল ডাবল যাত্রী নেয়। সেখানে যদি করোনা না ছড়ায় আমরা একজন যাত্রী নিয়ে কীভাবে করোনা ছড়াই। এসব অত্যাচার আমরা মেনে নিতে চাই না। তাই আজ রাস্তায় নামলাম আমরা।
এর আগে গত ৩১ মার্চ, বুধবার বিআরটিএর উপপরিচালক (প্রকৌশল শাখা) বিমলেন্দু চাকমার সই করা এক অফিস আদেশে জানানো হয়, আগামী দুই সপ্তাহের জন্য মোটরসাইকেলের রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে এসেও বাসে উঠতে না পেরে বিক্ষোভ করেছেন অফিসগামী যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর খিলক্ষেতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করার পর বুধবার থেকে অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
রাজধানীর বেশির ভাগ রুটে বেসরকারি যে মিনিবাসগুলো চলাচল করে, সেগুলো কমবেশি ৫০ আসনের। সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর অর্ধেক আসন খালি রেখে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে সেগুলো যাত্রী পরিবহন করছে এখন।
বুধবারও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের একরকম যুদ্ধ করে বাসে ওঠার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা হন।