সাইবার জগতে অভ্যন্তরীণ আক্রমণ একটি ভয়ানক হুমকির নাম। প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন একজনের অবহেলা বা অসতর্কভাবে ডিজিটাল ডিভাইস বা যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা ক্ষতিকারক (ম্যালিশিয়াস) কর্মকানন্ডের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানকে সাইবার আক্রমনের স্বীকার হতে হয় এবং সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
২০২০ সালের সাইবার সিকিউরিটির হুমকিগুলো
ফিশিং ই-মেইলের পরিবর্তন: ফিশিং ই-মেইল সম্পর্কে বর্তমানে কম-বেশি সবাই সচেতন। তাই হ্যাকাররা আগের পদ্ধতিতে ফিশিং ই-মেইল দিয়ে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। তাই তারা মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে ফিশিং মেসেজ ছড়িয়ে দেয়া শুরু করে।
সাইবার ফিজিক্যাল অ্যাটাক: অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণের জন্য আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করলেও এর সঙ্গে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে। যেমন- যেসব দেশের ওয়াটার সাপ্লাই, ইলেকট্রিক গ্রিড, পরিবহন ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়, সেসব ক্ষেত্রেও হ্যাকিংয়ের আশঙ্কা রয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
স্মার্ট মেডিকেল ডিভাইস ও ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ডস: স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির হার। কারনেগি মেলন ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, একটি ক্লিনিক বা হাসপাতালে যত বেশি ডিভাইস সংযুক্ত থাকে, তত তথ্য চুরির আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে একজন রোগীর শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত কোনো ডিভাইসকে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুর্ঘটনা ঘটানো সম্ভব।