তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছে। ফলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতিতে গণটিকাদানের মতো চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করতে পেরেছি।
বাংলাদেশ ফ্রন্টিয়ার স্টার্টআপস বিজনেস প্রিপ্যারেশন সাপোর্ট শীর্ষক ভার্চুয়াল ডেমো ডে সিরেমনিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার একটি ভিশন শেয়ার করেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয় বরং এটি একটি অনুপ্রেরণামূলক বাস্তবতা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একাডেমিয়াদের জন্য ইতিমধ্যে স্কুল ও কলেজে ৮০০০ এরও বেশি শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যেখানে যখন ৫ হাজারেরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এবং ১৫ হাজারেও বেশি পাইপলাইনে রয়েছে।
দেশের শিক্ষার্থীদের বিকাশের জন্য তাদেরকে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতা মাধ্যমগুলোকে বিকেন্দ্রীভূত করার জন্য প্রায় ৩০০টি ফিউচার অব স্কুল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যেখানে স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের তাদের কোডিং, প্রোগ্রামিং, ক্রিটিকাল থিংকিং, ডিজাইন থিংকিং এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য তাদের প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা বিকাশের সুবিধা দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, সারা দেশে ৩৩টি পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩টিরও বেশি বিশেষ ৪আইআর প্রযুক্তিভিত্তিক ল্যাব সরবরাহ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে যাতে নন-গ্র্যাজুয়েট যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরকে লক্ষ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট এবং থিসিস বা রিয়েল লাইফ প্রোডাক্ট সেবার গবেষণাপত্র চালু করে যাতে আমরা বাজারে নতুন ও উপযুক্ত উদ্ভাবন আনতে পারি এবং একাডেমিয়া থেকে শিল্পের মধ্যে একটি নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ তৈরি করতে পারি সেই প্রচেষ্টাও চলমান রয়েছে বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, বাংলাদেশি স্টার্টআপ যারা এই প্রোগ্রামে যোগদান করেছে তারা সফলভাবে প্রোগ্রামের প্রত্যাশা এবং প্রাথমিক লক্ষ্যসমূহ পূরণ করেছে।
তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। বলেন, বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২০০৯ সাল থেকে প্রায় তিনগুণ বেড়েছে এবং দেশটি দারুণ কাজ করছে। বাংলাদেশ সফলভাবে করোনা মহামারি মোকাবেলা করছে এবং এটি সত্যিই প্রশংসনীয়।
অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, দক্ষিণ কোরিয়ার কোরিয়া প্রোডাক্টিভিটি সেন্টারের (কেপিসি) চেয়ারম্যান আন ওয়াং-জি, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব পার্থপ্রতিম দেব এবং আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও যুগ্ম-সচিব মো. আব্দুর রাকিব।