‘ভিভো এক্স৭০ প্রো ৫জি ‘তে বিভিন্ন ইউনিক ফিচার আছে যা ভিডিও শুটিংয়ে দারুণ কাজ করে। এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে বেশ সহজে শট নিতে পেরেছি। চ্যালেঞ্জিং এবং ছোট ছোট জায়গাগুলোতেও ভিভো এক্স৭০ প্রো ৫জি নিয়ে গেছি, শুট করেছি। চ্যালেঞ্জিং ঐ শটগুলো নেয়া বেশ সহজ করেছে এই ডিভাইসটি।’
এভাবেই বলছিলেন সাম্প্রতিক আলোচনায় উঠে আসা শর্টফিল্ম ‘অ্যা হ্যাপি ম্যান’ এর পরিচালক ভিকি জাহেদ। শর্টফিল্মটির সম্পূর্ণ ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়েছে ভিভো এক্স৭০ প্রো ৫জি দিয়ে। ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি টিভি চ্যানেলসহ ভিভোর অফিসিয়াল ফেসবুকে প্রচার হয়েছে অ্যা হ্যাপি ম্যান। এতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাশার এবং ২০১৬ এর মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানার আপ রুকাইয়া জাহান চমক।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের স্মার্টফোনের বাজারে এসেছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ভিভো এক্স৭০ প্রো ৫জি। ডিভাইসটির সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। আর পেছনের রিয়ার-কোয়াড ক্যামেরা অ্যারেতে থাকছে ৫০ মেগাপিক্সেল+ ১২ মেগাপিক্সেল+ ১২ মেগাপিক্সেল+ ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেটআপ যা গুণগত মানের দিক থেকে প্রফেশনাল ক্যামেরার সমকক্ষ।
তাছাড়া ভিভো এক্স৭০ প্রো ৫জি’তে আছে বিশ্বখ্যাত লেন্স নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কার্ল জেইসের অপটিক্স। স্থির ছবি বা ভিডিও ধারণের জন্য ফোনটিতে রয়েছে আল্ট্রা-সেন্সিং গিম্বল ক্যামেরা ও গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশন ৩.০ প্রযুক্তি।
এই প্রফেশনাল ক্যামেরা ফিচারের কারণেই অ্যা হ্যাপি ম্যান শর্টফিল্ম এর শুটিং হয়েছে ভিভো এক্স৭০ প্রো ৫জি’র রিয়ার-কোয়াড ক্যামেরা অ্যারে দিয়ে। মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ১২০০-ভি চিপ এবং ৪৪৫০মিলিএম্পিয়ার এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, এবং সঙ্গে ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ মিলে এই শর্ট ফিল্ম নির্মানের সময় দিয়েছে এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স।
শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে শর্টফিল্মটির পরিচালক ভিকি জাহেদ আরও বলেন, ‘ভিভো এক্স ৭০ প্রো ৫জি দিয়ে আমি অ্যা হ্যাপি ম্যান শর্টফিল্মটি শ্যুট করেছি। আমার এক্সপেরিয়েন্সটা বেশ মজার ছিল। সাধারণত মোবাইল ফোন দিয়ে ফিকশন বা শর্ট ফিল্ম বানানোর সুযোগ আমাদের হয় না। ভিভো এক্স ৭০ প্রো ৫জি আমাকে সে সুযোগ এনে দিয়েছিল।’
স্মার্টফোনটির পারফরমেন্স নিয়ে জাহেদ বলেন, ‘এই স্মার্টফোনে বিভিন্ন ইউনিক ফিচার আছে যা ভিডিও শুটিংয়ে সাহায্য করে। এর গিম্বল স্ট্যাবিলাইজেশনটাও মজার একটা ইনপুট। এর কারণে বেশ সহজে ফলো শট নিতে পেরেছি। এছাড়া বেশ চ্যালেঞ্জিং ও ন্যারো জায়গাগুলোতে স্মার্টফোনটি নিয়ে গিয়েছি। ওখানেও বেশকিছু ইন্টারেস্টিং শট নিয়েছি। একটা সিলিং ফ্যানের পিওভিতে আমরা শট নিয়েছি। বাইকের পেছনে ডিওপি স্মার্টফোনটি নিয়ে বসে গিয়েছিলেন। বাইক চলছিল, উনি শট নিচ্ছিলেন। একটা চেজিং সিন আমরা এভাবে শ্যুট করেছি। কিছু কিছু ন্যারো স্পেস বা চ্যালেঞ্জিং জায়গাগুলোতে নরমালি একটা নরমাল ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া যেতো না যেটা মোবাইল ফোন নিয়ে আমরা যেতে পেরেছি এবং শট গুলো অনায়াসে নিতে পেরেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপকামিং ফিল্মমেকারদের বলব আপনারা এ ধরণের স্মার্টফোন দিয়ে আপনাদের শটফিল্মগুলো শুট করতে পারেন। এতে করে আপনারা চ্যালেঞ্জিং একটা এনভায়রনমেন্টে শুট করতে পারবেন যা ফিউচার ফিল্ম মেকিংয়ে হেল্প করবে।’
অভিনেতা খায়রুল বাশার বলেন, ‘খুবই দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। ফুটেজগুলো আমি দেখেছি। চমৎকার সব ফুটেজ পাওয়া গেছে। স্মার্টফোন দিয়ে শর্টফিল্মটি করা হয়েছে এতে বেশ অবাক হয়েছি। আমার খুব ভালো লেগেছে।’