মোবাইল ফোনের স্বয়ংক্রিয় বার্তা ব্যবস্থা রোবোকলগুলোর জন্য এআই জেনারেটেড ভয়েস ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি)। গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) আদালতের রায়ে অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলকে এআই ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি কণ্ঠস্বরগুলো এখন টেলিফোন গ্রাহক সুরক্ষা আইনের (টিসিপিএ) অধীনে ‘কৃত্রিম বা আগে রেকর্ডকৃত ভয়েস’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এ কারণে কলাররা জরুরি নয় এমন বিষয়ে বা পূর্ব সম্মতি ছাড়াই এআই–জেনারেটেড ভয়েস ব্যবহার করতে পারবেন না।
টিসিপিএতে বার্তা পৌঁছানোর জন্য ‘কৃত্রিম বা আগে রেকর্ডকৃত ভয়েস’ ব্যবহারসহ বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় কলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এতে এআই দিয়ে ভয়েস ক্লোনিং অন্তর্ভুক্ত কি না তা স্পষ্টভাবে বলা হয়নি। নতুন রায়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে, এই রেকর্ডিংগুলো প্রকৃতপক্ষে আইনের আওতায় আসা উচিত।
এফসিসির প্রধান জেসিকা রোজেনওরসেল এক বিবৃতিতে বলেন, দুর্বৃত্তরা পরিবারের সদস্য সেজে প্রতারণা করতে, সেলিব্রিটিদের অনুকরণ করতে এবং ভোটারদের ভুল তথ্য দিতে অযাচিত রোবোকলগুলোতে এআই–জেনারেটেড কণ্ঠস্বর ব্যবহার করছে। এই প্রতারণাগুলো বন্ধ করতে অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নতুন হাতিয়ার পাবেন এবং জনগণকে জালিয়াতি এবং ভুল তথ্য থেকে সুরক্ষিত রাখা নিশ্চিত করা হবে।
এ রায়ের আগে থেকেই অ্যাটর্নি জেনারেল রোবোকলের মাধ্যমে প্রতারণাকারীদের তাদের অপরাধের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করতে পারতেন। কিন্তু নতুন এ রায়ের ফলে এআই জেনারেটেড ভয়েস ব্যবহার করাকেই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। এফসিসি প্রথম গত মাসে রোবোকলে এআই ভয়েসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রোবোকলগুলোর এআই ভয়েস ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গত জানুয়ারিতে, নিউ হ্যাম্পশায়ারের কিছু বাসিন্দা একটি কল পেয়েছিলেন যেখানে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কণ্ঠ নকল করা হয়। ওই কলটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারিতে (দলীয় সমর্থন আদায়ের নির্বাচন) অংশ নিতে নিষেধ করা হয়।
এক তদন্তে এই রোবোকলের পেছনে টেক্সাস–ভিত্তিক দুটি সংস্থা— লাইফ করপোরেশন এবং লিংগো টেলিকম— জড়িত বলে জানা গেছে।