চীনের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে অ্যাপলের আইফোন। টানা কয়েক মাস বিক্রি নিম্নমুখী থাকার পর মে মাসে আবারো সর্বোচ্চ স্থানে ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্টটি। আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থা কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, কভিডের পর গত এপ্রিল ও মে মাসে অ্যাপলের বিশ্বব্যাপী বিক্রি গত বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
সংস্থাটির প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী এ বিক্রয় প্রবৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো অ্যাপলের দুটি বৃহত্তম বাজার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি আবার বেড়ে যাওয়া।
কাউন্টারপয়েন্ট জানিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক সুবিধার কারণে অ্যাপলের ব্যয় কমেছে। পাশাপাশি জাপান, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারগুলোয় তাদের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে অর্থাৎ দ্বিগুণের কাছাকাছি বেড়েছে।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সিনিয়র অ্যানালিস্ট ইভান ল্যাম বলেন, ‘দ্বিতীয় প্রান্তিকে আইফোনের বিক্রি ও আয় এখন পর্যন্ত ইতিবাচক দেখাচ্ছে, তবে বরাবরের মতোই এর উত্থান-পতন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এ দুই বাজার দ্বারা নির্ধারিত হয়।’
সরকারি অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির তথ্যের ভিত্তিতে করা হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিলে চীনে বিদেশী ব্র্যান্ডের ফোন বিক্রি আগের বছরের ৩৫ লাখ থেকে বেড়ে ৩৫ লাখ ২০ হাজার ইউনিটে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া এ সময় হুয়াওয়ে ও শাওমির মতো স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছে অ্যাপল। ফলে এখানে টিকে থাকতে দাম কমাতেও বাধ্য হয়েছে কোম্পানিটি। মে মাসে চীনা ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলোয় অ্যাপলের সর্বশেষ আইফোন ১৬ মডেলগুলোয় ৩৫১ ইউএস ডলার (২ হাজার ৫৩০ ইউয়ান) পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়েছিল।
২০১৯ সালের পর থেকে দেশটির বাজারে শীর্ষ অবস্থানে ছিল মার্কিন এ প্রযুক্তি জায়ান্ট। কিন্তু গত কয়েক বছরে হুয়াওয়ে ও শাওমির মতো ব্র্যান্ডের চাহিদা বাড়ায় দেশটিতে আইফোন বিক্রি কমতে থাকে। ফলে অ্যাপল চীনের বাজার হারাচ্ছে কিনা গত বছর এমন আশঙ্কাও করেন বিশেষজ্ঞরা।