স্মার্টফোনে গেম খেলতে ভালোবাসেন অনেকেই। তবে সব স্মার্টফোনে গেম খেলা যায় না। কারণ অনলাইন গেমগুলো স্মার্টফোনে ডাউনলোড করাও ঝামেলা। কারণ এগুলো সাধারণত স্মার্টফোনের বড় জায়গা জুড়ে থাকে। ফলে অন্যান্য জরুরি অ্যাপ ডাউনলোড করতে সমস্যা হয়। এছাড়াও ফোন হ্যাং করাসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।
এজন্য স্মার্টফোন ব্যবহারের অন্যতম কারণ যদি হয় গেম খেলা তাহলে সে ধরনের স্মার্টফোন বেছে নিন। স্মার্টফোন কেনার আগে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব-
>> প্রথমেই গেমিংয়ের জন্য ফোন কেনার সময় প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দিকটি বিবেচনা করতে হবে তা হলো প্রসেসর। প্রসেসর আপনার ফোনের কর্মক্ষমতা নিয়ন্ত্রিত করে। তাই অন্তত আপনার ডিভাইসে স্ন্যাপড্রাগন ৭০০-সিরিজ ডিভাইস বা ৮০০-সিরিজের সর্বশেষ আপডেট থাকা উচিত। তবে এই মুহূর্তে, স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসরটি গেমিংয়ের জন্য সেরা পছন্দ, কারণ কোয়ালকম অনুসারে, ৮৮৮ প্রসেসর প্রতি সেকেন্ডে ১২০ ফ্রেমে ১০ শতাংশ পারফরম্যান্স বুস্ট দেয়। আপনি যদি ডাইমেনসিটি প্রসেসর ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনাকে ডাইমেনসিটি ১০০০ এবং ডাইমেনসিটি ১২০০-এর মতো অন্তত হাই-অ্যান্ড মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি সিরিজ চিপ চালানোর একটি ফোন কিনতে হবে।
>> গেমিংয়ের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ফোনের র্যাম এবং ইন্টারনাল স্টোরেজ। খেয়াল রাখুন ফোনে কমপক্ষে ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি স্টোরেজ যেন থাকে। তবে এর চেয়ে বেশি স্টোরেজের ফোন কিনলে আরও ভালো।
>> ফোনের ডিসপ্লে বা স্ক্রিন গেমিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। গেম সঠিকভাবে দেখার জন্য আপনার অবশ্যই একটি হাই রেজুলেশন স্ক্রিন থাকতে হবে। এছাড়াও একটি গেমিং ফোনের স্ক্রিনের রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্জ বা ১২০ হার্জ হওয়া উচিত। কারণ উচ্চতর রিফ্রেশ রেট গেমগুলোর জন্য উপকারী হতে পারে।
>> ফোনের টাচ স্যাম্পলিং রেটও যেন বেশি থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কমপক্ষে ১৮০ হার্জ টাচ স্যাম্পলিং রেটসহ একটি স্ক্রিন থাকতে হবে। যেন গেম খেলার সময় আপনার কোনো রকম কোনো অসুবিধা না হয়।
>> এটা স্পষ্ট যে আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনে গেম খেলেন তবে ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়া সাধারণ ব্যাপার। গেম খেলার সময় ফোন হাই গ্রাফিক্স এবং হাই রিফ্রেশ রেট ব্যবহার করে, ফলে আপনার ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তাই ফোন কেনার সময় কমপক্ষে ৪,৫০০এমএএইচ ব্যাটারি আছে এমন ফোন বাছাই করুন।