ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইসিটি খাত থেকে দেশের রফতানি আয় দুই বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারে উন্নীত হয়েছে।
প্যারিসের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্টার্টআপ এবং প্রযুক্তি ইভেন্টে ভিভাটেক নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৫ বছরে ১৩০ মিলিয়ন (১৩ কোটি) ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট অ্যাকসেস দিতে সক্ষম হয়েছি আমরা। আইসিটি খাতে রফতানি আয় ২৬ মিলিয়ন (২ দশমিক ৬ কোটি) ডলার থেকে ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলারে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লাখ সক্রিয় আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন, যারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন। দেশের প্রায় ২ হাজার ৫০০টি সরকারি পরিষেবা ডিজিটালাইজ ও ৫২ হাজার ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রায় আড়াই হাজার স্টার্টআপ রয়েছে, যা আইসিটি সেক্টরে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন (১৫ লাখ) চাকরির সুযোগ তৈরি করে। উদ্ভাবন ও স্টার্টআপদের জন্য নিবেদিত ভিভাটেক-২০২৪-এ প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ১২টি স্টার্টআপ বিভিন্ন উদীয়মান প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। আমরা এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, মাইক্রোচিপ ডিজাইন এবং সাইবার নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের স্টার্টআপগুলোকে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি।
পলক বলেন, ১৫ বছর আগে বাংলাদেশে কোনো ধরনের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ছিল না। সেখান থেকে আমরা আমাদের তরুণ উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছি। এছাড়া স্টার্টআপ ক্যাম্পেইন ও এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম চালুসহ স্টার্টআপগুলোকে সহজতর করার জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্কুল ও কলেজে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কম্পিউটার ল্যাব এবং স্কুল অব ফিউচার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে দেশের তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা হচ্ছে। এ সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন ২০৪১: স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।