বন্ধুবান্ধব কিংবা অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপের মতোই জনপ্রিয় ফেসবুক মেসেঞ্জারও। তবুও প্রতি মুহূর্তে কী করে তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে চলেছে মেটা। এবার জানা গেল, মেসেঞ্জারে এবার আরও একটি নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করার সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে মেসেঞ্জারের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। এবার মেসেঞ্জারে একসঙ্গে ৫ হাজার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার জন্য ‘কমিউনিটিজ’ ফিচার নিয়ে এলো মেটা।
এই ফিচারের মাধ্যমে একই ফেসবুক গ্রুপে না থাকলেও মেসেঞ্জার কমিউনিটিজ গ্রুপে যুক্ত হয়ে অন্যদের সঙ্গে চ্যাট করতে পারবেন আপনি। সাধারণ মেসেঞ্জার গ্রুপে মাত্র ২৫০ জন সদস্য যুক্ত করা যায়। তাই ২০২২ সালে ফেসবুক মেসেঞ্জারে কমিউনিটি চ্যাটস চালু করে মেটা।
সম্প্রতি অ্যাপে নতুন গ্রুপ চ্যাট ফিচার রোল আউট করেছে সংস্থা। ধীরে ধীরে সব মেসেঞ্জার ইউজারের কাছে পৌঁছে যাবে এই ফিচার। যে কোনো ইউজার এই কমিউনিটি শুরু করতে পারবেন। এই কমিউনিটি পরিচালনা করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাডমিন ফিচার চালু করা হয়েছে।
একজন অ্যাডমিন কীভাবে মেসেঞ্জার কমিউনিটি চালাতে পারবেন–
* নতুন মেম্বারদের ইনভাইট করতে পারবেন।
* কমিউনিটি চ্যাট তৈরি করতে পারবেন।
* কমিউনিটি থেকে কাউকে বাদ দিতে পারবেন।
* কমিউনিটিতে কোনো চ্যাট ডিলিট করতে পারবেন।
* কমিউনিটি থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন।
* কোনো কনটেন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার ক্ষমতা থাকবে।
* কমিউনিটি চ্যাট থেকে কোনো কনটেন্ট মুছে ফেলতে পারবেন।
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানায়, এই ফিচারের ফলে অনেকেই লাভবান হতে পারেন। এর মাধ্যমে একসঙ্গে ৫ হাজার মানুষের সঙ্গে মেসেজিং করা যাবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিবেশীর মধ্যে চ্যাটিংয়ের সুবিধা দিতে ফিচারটি নিয়ে এসেছে মেটা। অর্থাৎ প্রতিবেশীরা গ্রুপ তৈরি করে এলাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠান, নিরাপত্তা ব্যবস্থার মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন। আবার শিক্ষকরা গ্রুপ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে আলোচনা করতে পারে বা ক্লাস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানাতে শিক্ষার্থীদেরও যুক্ত করে গ্রুপ খুলতে পারেন।
আবার বিশেষ বিষয় আগ্রহী ব্যক্তিরাও এই গ্রুপের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। অনেকটা হোয়াটসঅ্যাপের কমিউনিটি ট্যাবের মতো কাজ করলেও এই দুই ফিচারে পার্থক্য রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটিজে যুক্ত হতে ফোন নম্বর প্রয়োজন, আর মেসেঞ্জার কমিউনিটিজে যুক্ত হতে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন।
তবে ফিচারটি এখনও সবার জন্য চালু করা হয়নি। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশে সব অ্যাকাউন্টে ফিচারটি পাওয়া যাবে। তবে মেটা কমিউনিটিজ ফিচার ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে বলেছে। কারণ, এতে ব্যক্তিগত মেসেজ না দেয়াই ভালো। এখানে অনেক অ্যাকাউন্ট যুক্ত থাকবে। তাই চ্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
সাধারণ গ্রুপ চ্যাটের মতো কোনো কমিউনিটি চ্যাট তৈরি করলে ক্রিয়েটরই গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে থাকবেন। অ্যাডমিন সদস্য হিসেবে যে কাউকে গ্রুপে যুক্ত করতে পারবেন বা গ্রুপ থেকে বের করতে পারবেন। তবে গ্রুপের সব সদস্য গ্রুপে যুক্ত হওয়ার জন্য অন্যদের আমন্ত্রণ পাঠাতে পারবেন। অ্যাডমিন সদস্যদের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি তদারকি করতে পারবেন।