ফিনল্যান্ডের হামিনাতে নতুন একটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে গুগল। এ ডাটা সেন্টার নির্মাণে ৬০ কোটি ইউরো খরচ হবে বলে গতকাল কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অবশ্য হামিনাতে একটি ডাটা সেন্টার রয়েছে গুগলের। একটি পেপার মিলকে ডাটা সেন্টারে রূপান্তর করতে সেখানে ৮০ কোটি ইউরো খরচ করে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০৯ সালে রাশিয়া সীমান্তবর্তী স্টোরা এনজো নামের সেই কাগজকলটি কিনে নেয় গুগল। এবার হামিনাতেই আরেকটি ডাটা সেন্টার বানাতে যাচ্ছে এ সার্চ জায়ান্ট।
গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামিনাতে তাদের বর্তমান ডাটা সেন্টারটি সবচেয়ে উন্নত ডাটা সেন্টারগুলোর একটি এবং বিদ্যুৎসাশ্রয়ী। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে কুলিং সিস্টেমে গালফ অব ফিনল্যান্ড সাগরের পানি ব্যবহার করা হয়।
ইউরোপে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড ও বেলজিয়ামে ডাটা সেন্টার আছে গুগলের।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, গুগলের পক্ষ থেকে ই-মেইলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে নতুন অবকাঠামোটি ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে হামিনায় অবস্থিত গুগলের ডাটা কমপ্লেক্সে যুক্ত হবে। ফলে সেখানে গুগলের মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ১৪০ কোটি ইউরো।
গত বছর গুগল জানিয়েছিল, হামিনায় গুগলের ডাটা সেন্টার কমপ্লেক্সটি পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে। ফিনল্যান্ডে স্থাপিত তিনটি নতুন বায়ুকল থেকে আসবে এ বিদ্যুৎ।
ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি ব্যবহারকারীর ডাটা সংরক্ষণের পরিমাণও দ্রুত বাড়ছে। ফলে বিপুল পরিমাণ ডাটা এবং সন্তোষজনক গতি বজায় রাখতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে ডাটা সেন্টার বা তথাকথিত ক্লাউড প্লাটফর্ম খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। ই-মেইল, ম্যাপ, সার্চ, ফটো ও ইউটিউবের মতো সেবার জন্য ডাটা সেন্টার সম্প্রসারিত করা গুগলের অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।