বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাত বিশেষ করে ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভ -জি প্রযুক্তি চালু করতে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সাথে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট স্পেশালিস্ট সিও চিউ কুয়াক ( ঝরড়ঁ পযবি শঁবশ) এর তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎ কালে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে সহায়তা প্রদানের এই আগ্রহ ব্যক্ত করে।
সাক্ষাৎকালে তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদিসহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে সূচিত ডিজিটাল এই বিপ্লব বাংলাদেশ পৃথিবীকে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের পথ চিনিয়েছে। ডিজিটাল বিপ্লবকে শাণিত করতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে প্রযুক্তির অভাবনীয় ভার্সন ফাইভজি প্রযুক্তি চালু করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে ফাইভ জি প্রযুক্তির পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্প্রসারণে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ফাইভ জি প্রযুক্তি কেবল কথা বলার প্রযুক্তি নয়, কৃষি, মৎস্যসহ শিল্পের প্রতিটি শাখায় অভাবনীয় পরিবর্তনের সূচনা করবে, সভ্যতার পরিবর্তন ঘটাবে।
প্রতিনিধিদল দেশের অগ্রগতির প্রতিটি সূচকসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করে।
এছাড়াও ফাইভ জি প্রযুক্তি চালু করতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আগামী ৭ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের সাথে বৈঠকের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যগণ হচ্ছেন, বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র ডিজিটাল ডেভলপমেন্ট স্পেশালিস্ট রাজেন্দ্র সিংহ এবং বিশ্ব ব্যাংকের শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ টিএম আসাদুজ্জামান।