সায়েম মোল্ল্যা। ফরিদপুর সালথা বাজারের মুদি দোকানি। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও ২ মেয়ে। মুদি দোকানের আয় দিয়েই চলছে সংসার। ভিটে বাড়ী ছাড়া ছিল না কোনো জমি-জমা বা সম্পতি। তবে, এখন তিনি মিলিয়নিয়ার। সম্প্রতি ওয়ালটনের ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের আওতায় ফ্রিজ কিনে পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। সেই খুশিতে তার পরিবারে বইছে আনন্দের জোয়ার। দুই মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য এই টাকা স্থায়ী আমানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রেখেছেন তিনি।
সম্প্রতি ফরিদপুরের সালথা বাজারে ওয়ালটনের পরিবেশক তামিম ইলেকট্রনিক্স থেকে একটি ফ্রিজ কিনেন সায়েম মোল্ল্যা। কেনার পরপরই তার নাম, মোবাইল নাম্বার ও পণ্যের বারকোড নাম্বার দিয়ে ফ্রিজটি রেজিস্ট্রেশন করেন। কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ম্যাসেজ আসে। দেখেন- ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। তৎক্ষণাৎ হতবাক হয়ে যান সায়েম।
গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সায়েম মোল্ল্যার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোরের সমন্বয়ক মো. নাজমুল হোসাইন ও সিনিয়র ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টও মো. একরাম হোসেন পলাশ, ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক ফরিদপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার বিজয় কুমার নাথ, সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ফরিদপুর শাখার ম্যানেজার মো. আকিবুল ইসলাম, তামিম ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী সাহেব মাতুব্বরসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
সায়েম মোল্ল্যা বলেন, ‘মনে হচ্ছে- স্বপ্ন দেখছি। দু’দিন আগেও ভিটেবাড়ী ছাড়া কিছু ছিলনা। আর এখন আমার হাতে ১০ লাখ টাকা। এ যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়েছি। সারাজীবন ওয়ালটনের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।’
তিনি আরো বলেন, অনেক বছর ধরেই ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করছি। এখনও ঘরে ওয়ালটনের ৪ টি সিলিং ফ্যান, একটি ইস্ত্রী, ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি আছে। দোকানের ফ্রিজটিও ওয়ালটনের। অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে ওয়ালটনের এসব পণ্য কম দামে কিনেছি । মানও অনেক ভালো। তাই, বাড়ীর জন্যও ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনলাম।’
এদিকে শরীয়তপুরে জেলায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন দুই ক্রেতা। এরা হচ্ছেন- সদর উপজেলার কাঁচামাল ব্যবসায়ী এমদাদ মুন্সী ও জাজিরা উপজেলার কৃষক দানেশ সিকদার। গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শরীয়তপুর সদরে ওয়ালটন প্লাজায় এমদাদ মুন্সীর হাতে ১ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়।
একই দিনে জাজিরা বাজারে ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ পরিবেশক পদ্মা ইলেকট্রনিক্সে ক্রেতা দিনেশ সিকদারের হাতে ১ লাখ টাকার আরেকটি চেক তুলে দেয়া হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বেলায়েত হোসেন, শরীয়তপুরে ওয়ালটন সাভিস সেন্টারের ম্যানেজার রিফাত হোসেন, ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার গৌরাঙ্গ হাজরা, পদ্মা ইলেকট্রনিক্সের সত্ত্বাধিকারী আলম সরদারসহ স্থানীয় ব্যক্তিগণ।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। সেজন্য সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ওই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ সুবিধা ঘোষণা করে ওয়ালটন। এ সুযোগ থাকছে ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এর আওতায় ইতোমধ্যেই ২০ জনেরও বেশি ক্রেতা মিলিয়নিয়ার হয়েছেন। অসংখ্য ক্রেতা ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ ফ্রিজ, টিভি ও নানান ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফ্রি পেয়েছেন হাজার হাজার ক্রেতা।