“নচিকেতার ‘লাল ফিতে সাদা মোজা সু-স্কুলের ইউনিফর্ম পরিহিতা নীলাঞ্জনা’র মতো কেউ আমার প্রথম প্রেম হয়নি। ভালো লাগেনি কলেজের তথাকথিত সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েকেও। এমন একজনকে চেয়েছিলাম যার ¯স্নিগ্ধ হাসি দেখামাত্রই আমার বুকে ঝড় ওঠে। এমন মানুষটি সত্যিই এসেছিল জীবনে।
অনার্সের প্রথম ক্লাস। হৈ হৈ করে ক্লাসে ঢুকে বন্ধুদের সাথে বসলাম পেছনের বেঞ্চে। ক্লাস মনিটর নির্বাচনে নাম লিখিয়ে দেখলাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আরো ৭ জন। কিন্তু ভোটের সময় দেখলাম সংখ্যায় একজন কম। কে, কেন চলে গেল-এক মুহূর্ত ভেবেই মন আবার ফিরে গেলো নির্বাচনে। প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে ক্লাস মনিটর হিসেবে আমি নির্বাচিত হলাম। সবার সাথে পরিচয় পর্বে লক্ষ্য করলাম ফার্স্ট বেঞ্চের এক কোণে গুটিশুটি মেরে বসে আছে একটা মেয়ে। ক্লাস মনিটর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সবসময় দেখতাম সে চুপচাপ। এমনকি একই ক্লাসে পড়া সত্ত্বেও কখনো তার সাথে তেমন কথা হয়নি।
একদিন বন্ধুর সাথে একটা কাজে যাচ্ছিলাম নীলক্ষেত। হঠাৎ দেখলাম সেই মেয়েটি একটা ছেলের সাথে ফুটপাত ধরে হেঁটে আসছে আমার বরাবর। বেশ অবাক হলাম! তারপর ভাবলাম ছেলে বন্ধু হবে হয়তো। কিন্তু মেয়েটাকে দেখে মনে হলো সে আমাকে দেখে অনেকটা সংকোচ বোধ করছে। তারপর কাছাকাছি আসতেই আমায় দেখে এক মিষ্টি হাসি দিলো। এর আগে মেয়েটাকে কখনো হাসতে দেখিনি। টের পেলাম বুকের বা পাশে একটা তীক্ষ্ণ ব্যথা হচ্ছে। বুকে হাত রেখে বসে পড়লাম সেখানেই। কখনো ভাবিনি এভাবে, এমন পরিস্থিতিতে কারো হাসির প্রেমে পড়ব। এর পরের গল্প ইতিহাস। বিশেষ দ্রষ্টব্য, মেয়েটি আজ আমার অর্ধাঙ্গী। আর যে ছেলেটিকে আমি তার ছেলেবন্ধু ভেবেছিলাম, সে আসলে তার ছোট ভাই।”
প্রতিটি ভালোবাসায় থাকে এমন অনন্য কিছু গল্প। ভালোবাসা দিবসে এমনি কিছু অনন্য গল্প জানতে গ্লোবাল স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো আয়োজন করেছে ভালোবাসার গল্প লেখা কনটেস্ট। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ভিভোর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে আপনার ভালোবাসার গল্প লিখে জিতে নিতে পারেন আকর্ষণীয় উপহার। স্মার্টফোন দুনিয়ায় নিত্য নতুন প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে সবসময় এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে আসছে ভিভো।