দেশের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষে পৌঁছেছে শাওমি। ২০২১ সালের তুলনায় গত বছর প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দ্বিগুণ স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে। সব মিলিয়ে দেশের স্মার্টফোনের বাজারে ১৮ শতাংশ হিস্যা নিয়ে শাওমি শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
২০২১ সালে শাওমির দেশের বাজারে অবস্থান ছিল ষষ্ঠতম এবং ২০২২ সালে এটি দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডে পৌঁছেছে । বাংলাদেশের বাজারে চীনা এই ব্র্যান্ডের এটিই প্রথম এ ধরনের অর্জন।
বাংলাদেশের বাজারে শাওমির এ সাফল্যের খবর উঠে এসেছে কাউন্টির পয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদনে। বাজার গবেষক সংস্থাটি জানিয়েছে, শাওমির শীর্ষস্থান অর্জনের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কোম্পানিটির সাশ্রয়ী দামের স্মার্টফোন মডেলগুলো, যেমন রেডমি ১০এ, রেডমি ১০সি ও রেডমি ১০ ২০২২ প্রভৃতি।
শাওমির শীর্ষস্থান দখলের খবরের পাশাপাশি বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ। দেশের বাজারে ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় স্মার্টফোনের সরবরাহ কমেছে ২৩ শতাংশ।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সামষ্টিক অর্থনীতিতে সংকট, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় ব্যাঘাত, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি ও সম্প্রতি উৎপাদন থেকে বিক্রির সব স্তরে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপ করায় বিদায়ী বছরের শেষার্ধে স্মার্টফোনের বিক্রি কমে যায়।
কাউন্টারপয়েন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্বিকভাবে ২০২২ সালে দেশের মোবাইল ফোনের (স্মার্টফোন ও ফিচার ফোন) বাজার ৮ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। যদিও ফিচার ফোনের বাজার ৪ শতাংশ বেড়েছে। তার বড় কারণ, গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে স্মার্টফোনের মূল্যবৃদ্ধি। সে কারণে দেশে স্মার্টফোনের চাহিদার হ্রাস পেয়েছে। গত বছর বাজারজাত করা মোট মোবাইল ফোনের মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৩৯ শতাংশ। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪৬ শতাংশ।
সব মিলিয়ে দেশের স্মার্টফোনের বাজারে ১৮ শতাংশ হিস্যা নিয়ে শাওমি শীর্ষ স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্যামসাংয়ের বাজার হিস্যা ১৩ শতাংশ। তারপর রিয়েলমি ১১ শতাংশ, ভিভো ১০ ও অপোর বাজার হিস্যা ৯ শতাংশ।